লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মমিন উল্যাকে হত্যার হত্যা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
এছাড়া একই আদালত একটি মাদক মামলায় গিয়াস নামের এক যুবককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন দুটি রায় ঘোষণার বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রায়ের সময় হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোহন আদালতে উপস্থিত ছিল না। তিনি পলাতক। অন্য আসামি তারেক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোহন সদর উপজেলার বিরাহিমপুর গ্রামের মাইন উদ্দিনের ছেলে ও তারেক রশিদপুর গ্রামের মো. আবদুল্লাহর ছেলে। এছাড়া মাদকে সাজাপ্রাপ্ত গিয়াস টেকনাফের পানখালি এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে।
পিপি জানান, ২০১৩ সালের ২৭ জুলাই রাতে রামগঞ্জ থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে আসামিরা। তারা সদর উপজেলার হামছাদী ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামে এসে চালক মমিনকে হত্যা করে। এক পর্যায়ে তারা অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সড়কের ওপর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন নিহতের বাবা রামগঞ্জ উপজেলার আজিমপুর গ্রামের সুলতান আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকালীন পুলিশ লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের রেহান উদ্দিন ভূঁইয়া সড়ক থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করে।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি মোহন ও তারেকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর আসামিদের যাবজ্জীবন সাজা ও জরিমানা করেন।
অন্যদিকে, ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর টেকনাফ থেকে পেটের ভেতরে করে ইয়াবা নিয়ে যাওয়ার পথে লক্ষ্মীপুরের দালালবাজার থেকে গিয়াসকে আটক করে পুলিশ। পরে হাসপাতালে নিয়ে তার পেটের ভেতর থেকে এক হাজার ১২৫ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
হত্যা মামলার রায়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ববি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আসামি তারেক ন্যায়বিচার পায়নি। আমরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব। আশা করি সেখানে ভালো কিছু পাব।’