শরীয়তপুরে সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা
শরীয়তপুর পৌরসভা এলাকায় সাংবাদিক রোকনুজ্জামান পারভেজকে (৪০) রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সাংবাদিকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিক পারভেজকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এটিএন বাংলা, এটিএন নিউজ ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি এবং শরীয়তপুর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন শরীয়তপুরে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা।
সাংবাদিক পারভেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে রোকনুজ্জামান পারভেজ তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসেছিলেন। হঠাৎ দোকানের সামনে শরীয়তপুর পৌরসভার উত্তর পালং গ্রামের নাজমুল মাদবর ও নাঈম মাদবরের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন লোক এসে এক নারীকে লাঠি ও রড দিয়ে পেটাতে থাকে। এ সময় ওই নারী আত্মরক্ষায় সাংবাদিক পারভেজের দোকানে ঢুকে পড়েন। সন্ত্রাসীরা সেখানে ঢুকেও পেটাতে থাকে ওই নারীকে। তখন সন্ত্রাসীদের দোকান থেকে বের হতে বলেন পারভেজ। এ সময় সন্ত্রাসীরা পারভেজকে বলে, ভিডিও করছস কেন? পরে তাকে কিল-ঘুষি মারে এবং রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
খবর পেয়ে পালং মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় পারভেজকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত পারভেজের দাবি, তার দোকানের ক্যাশে রাখা ও সঙ্গে থাকা নগদ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা।
এ ব্যাপারে সন্ত্রাসী নাজমুল মাদবর ও নাঈম মাদবরের বাবা আবুল কাশেম মাদবর বলেন, ‘আমি কিছু জানি না। যদি আমার ছেলেরা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে, তাদের বিচার করা হোক।’
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, ‘পারভেজকে আমার তত্ত্বাবধানে রেখেছি। তার ঘাড়ে আঘাত রয়েছে। তার অবস্থা কী তা ২৪ ঘণ্টার আগে বলা যাবে না।’
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘আহত অবস্থায় পারভেজকে সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি অনল কুমার দে বলেন, ‘পারভেজের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।’