শাল্লায় হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২২ আসামি কারাগারে
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলা ও বাড়িঘরে লুটপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২২ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ২২ আসামিকে শাল্লা জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইসরাত জাহানের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত সবার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. সেলিম নেওয়াজ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় শানে রিসালাত সম্মেলনে লক্ষাধিক মানুষের সামনে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতারা। সেই সূত্র ধরে পাশের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের ঝুমন দাস আপন তাঁর ফেসবুকে মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেন বলে দাবি করা হয়। এক পর্যায়ে ঝুমনকে খুঁজে বের করে গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশে দেয় লোকজন। এরপরও লোকজন শান্ত না হয়ে গত বুধবার সকাল থেকে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নোয়াপাড়া গ্রাম ঘিরে রাখে। পরে তারা বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রামবাসীর পক্ষের করা মামলার বাদী স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে এই মামলায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
অন্যদিকে, এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে পুলিশের করা মামলায় বাদী হয়েছেন শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক এ তথ্য জানান।