‘সরকার আন্তরিক বলেই, নিত্যপণ্যের আমদানিশুল্ক প্রত্যাহার করেছে’
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/03/11/lgrd_min.jpg)
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, আরও বাড়বে। তাছাড়া সরকার অত্যন্ত আন্তরিক বলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আমদানিশুল্ক প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। যাতে সাধারণ মানুষ কমমূল্যে নিত্যপণ্য পেতে পারে।’
কুমিল্লায় আজ শুক্রবার প্রস্তাবিত শেখ কামাল ক্রীড়াপল্লীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্যাডেট ফোরাম (বিওয়াইসিএফ) এক্স ক্যাডেট ক্যাম্প-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণ হিসেবে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ব বাজারে সব পণ্যের মূল্য বেড়েছে। করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। যার ফলে বাংলাদেশের বাজারে পণ্যের মূল্য কিছুটা বেড়ে গেছে।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে অনেক শিল্প-কলকারখানায় উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ ছিল, জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত, চীন, ইংল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ প্রায় বিশ্বের সকল দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বিশ্ব বাজারে। বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন কোনো দেশ নয়। যার ফলশ্রুতিতে দেশেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের কিছুটা মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইচ্ছে করলেই তো হঠাৎ করে সব পণ্যের দাম কমানো সম্ভব নয়। তারপরেও সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নাগালে রাখার চেষ্টা করছে সরকার। আমদানিকৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের উপর শুল্ক হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে মানুষ কম মূল্যে ক্রয় করতে পারে।’
এ প্রসঙ্গে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে, মাথাপিছু আয়ের পরিমাণও বেড়েছে। সে হিসেবে পণ্যের চাহিদাও বেড়েছে, তাই মূল্যের উপর প্রভাব পড়েছে। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় পণ্যের দাম বাড়ছে।’
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সমাজ পরিবর্তনে ক্যাডেটরা ভূমিকা রাখতে পারে। মানুষের জন্য কিছু করতে পারাই জীবনের স্বার্থকতা। পৃথিবীতে একা ভালো থাকা যায় না। ভালো থাকতে হলে সবাইকে সাথে নিয়ে থাকতে হবে। ন্যায় ও সত্যের পথে থাকতে হবে। একটি আদর্শ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে সুশাসন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।’
কুমিল্লা শহরের উন্নয়নের জন্য বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কুমিল্লা জেলার ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সকল খাল সংস্কার ও খনন করে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কাজ করা হবে। যারা খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন, এগুলো উচ্ছেদ করা হবে।’
বিওয়াইসিএফ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শাহ মজিবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল ইসলাম সাক্কু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার), আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম টুটুল।
এতে ৫০টি ক্যাম্পে দেশের ৪২টি জেলা থেকে ৩০০ এক্স-স্কাউটসহ প্রায় ৪০০ জন অংশ নেয়।