সাইকেল রাখা নিয়ে বিতণ্ডা, আ.লীগ নেতাকে পেটালেন চা বিক্রেতা

ফরিদপুর সদর উপজেলার ইশানগোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি শম্ভু দাসকে কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়েছেন এক দোকানি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়নের লক্ষ্মীদাসের হাটে দুধ বেচতে গিয়ে সাইকেল রাখা নিয়ে কথাকাটাকাটির জের ধরে শম্ভু দাসকে পেটানো হয়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
আহত আওয়ামী লীগ নেতা শম্ভু দাস বলেন, ‘আমি আজ মঙ্গলবার সকালে একটি সাইকেলে করে বাজারে দুধ বিক্রি করতে আসি। সাইকেল রাখার সময় আমজাদ নামের এক চা দোকানদার আমাকের কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।’
শম্ভু দাস বলেন, ‘অনেকদিন ধরে আমজাদ, সেকেন মেম্বার, রোকন শেখ আমাকে টার্গেট করে আসছিল। কোনোমতে সুযোগ পাচ্ছিল না। আজ সকালে কথাকাটিকাটির জের ধরে আমার ওপর হামলা চালানো হয়।’
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আমার বাপ-দাদার সম্পত্তি, যেখানে শত বছর ধরে আমাদের বসবাস সেকেন মেম্বার শত্রুতা করে এক লোককে নিয়ে এসে তাঁর নামে ভুয়া ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা সংখ্যালঘু, যাতে আমরা ওই এলাকায় না থাকতে পারি। আর এ কারণেই তারা ওই চা দোকানদার দিয়ে হামলা চালাল।’
শম্ভু দাসের ছেলে রঞ্জন দাস বলেন, ‘আমার বাবা একজন ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা। এর আগে তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। বয়স হওয়ার কারণে বর্তমানে বাড়িতে থাকেন। দুধ নিয়ে সকালে আমার বাবা বাজারে গেলে সেকেন মেম্বারসহ অন্যদের প্ররোচনায় এই হামলা করে আমজাদ। পুরোটাই একটি ষড়যন্ত্র। সেকেন মেম্বার আমাদের জমির ভুয়া একটি ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দেয়। এ নিয়ে আমার বাবা তাঁকে বললে তিনি এতে রাগান্বিত হন।’
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বেলাল হোসেন বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওসি স্যারসহ পুলিশের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।