সাক্ষীর পা কেটে নেওয়ায় তিনজনের যাবজ্জীবন

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে হাছেন আলী প্রধান (হাছু) হত্যার মামলার সাক্ষী মনির উদ্দিনের পা কেটে ফেলার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া অন্য দুই আসামির মধ্যে একজনকে তিন বছর এবং আরো একজনকে এক বছর কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন অঙ্কের জরিমানা করা হয়। অভিযোগ প্রমাণতি না হওয়ায় বাকি দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় কিশোরগঞ্জের ১ নম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম মামলার সাত আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন কুলিয়ারচর উপজেলার ভাটিজগৎচর গ্রামের তাজুল ইসলাম (কসাই), গোলাপ মিয়া ও বিল্লাল মিয়া।
এ ছাড়া একই গ্রামের আবু কালামকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং শামছু মিয়াকে এক বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আবু সাঈদ ইমাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, উপজেলার ভাটিজগৎচর গ্রামের হাছেন আলী প্রধান (হাছু) হত্যার এক নম্বর সাক্ষী ছিলেন মনির উদ্দিন। ২০০৫ সালের ১২ ডিসেম্বর সকালে জাফরাবাদ মোড়ের একটি চায়ের দোকান থেকে জোর করে সাক্ষী মনিরকে ধরে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে সেখান থেকে একটি ধানের খলায় নিয়ে তাঁকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে। এরপর মধ্যযুগীয় কায়দায় হাত-পা বেঁধে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ডান পা কেটে ফেলে।
এ ঘটনার প্রায় দুই মাস পর ২০০৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আহত মনির উদ্দিনের বড় ভাই মো. সিরাজ মিয়া বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ইফতেখারুল ইসলাম পাভেল।