সাতক্ষীরায় দাহ্য পদার্থ ছুড়ে নববধূকে হত্যার চেষ্টা
সাতক্ষীরায় এক নবদম্পতিকে দাহ্য পদার্থ ছুড়ে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নববধূ তামান্না ও তার স্বামী ফরহাদ হোসেন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে প্রথমে খুলনা এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সরুলিয়া ইউনিয়নের বড়কাশিপুর গ্রামে কপোতাক্ষ নদের পাড়ে। এ সময় ওই দম্পতি কপোতাক্ষ পাড়ে বসে গল্প করছিলেন। কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে কে বা কারা দাহ্য পদার্থ ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। আগুনে তামান্নার কাপড়চোপড়ের সঙ্গে সঙ্গে মুখমণ্ডল এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গ মারাত্মকভাবে পুড়ে যায়। স্বামী ফরহাদ হোসেনও দগ্ধ হন। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে তাদেরকে পাটকেলঘাটার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি মামলা রেকর্ড করেছি। আসামিদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
তামান্নার পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, বড়কাশিপুর গ্রামের শেখ আব্দুল হকের মেয়ে তামান্নার সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কলারোয়ার তুলসিডাঙা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী সাদ্দাম হোসেনের বিয়ে হয়। পরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বাবা শেখ আব্দুল হক মেয়ে তামান্নাকে দ্বিতীয় বিয়ে দেন পুরাতন সাতক্ষীরার ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে। ফরহাদ হোসেন তার সদ্য পরিণীতা স্ত্রী তামান্নাকে নিয়ে শশুরবাড়ির নিকটেই কপোতাক্ষর তীরে সন্ধ্যায় গল্প করছিলেন। এ সময় দাহ্যপদার্থ ছুড়ে হামলার এই ঘটনা ঘটে।
ওসি প্রশান্ত কুমার রায় আরও বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তালাক দেওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রথম স্বামী সাদ্দাম হোসেন প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। এমন অভিযোগ তামান্নার বাবারও। আমরা আসামি ধরার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।’