গণপিটুনিতে ডাকাত সর্দার নিহত, দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ৬
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সাতক্ষীরায় অভিযান চালিয়ে বিপুল বিস্ফোরক দ্রব্য, ককটেল, রামদা ও দেশীয় অস্ত্রসহ ছয় ডাকাতকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এ সময় গণপিটুনিতে ডাকাত সর্দার কামরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সেনাবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মো. আরিফুল হক।
নিহত কামরুল ইসলাম দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালির মৃত বক্কর গাজীর ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত ভোররাতে দেবহাটা উপজেলার খলিষাখালিতে এ ঘটনা ঘটে।
আটক ডাকাতরা হলেন দেবহাটা উপজেলার বদরতলা গ্রামের হোসেন, কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের কাশিবাড়ি গ্রামের হাসিবুল হাসান সবুজ, একই উপজেলার বড়াবট গ্রামের রবিউল আওয়াল ও বাবুরাবাদ এলাকার মেহেরাব, শ্যামনগর উপজেলার বাবুরাবাদ গ্রামের মো. নুরুজ্জামান, আশাশুনি উপজেলার শ্রীগঞ্জের মো. সোহেল।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ জানান, খলিষাখালীতে দীর্ঘদিন একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ অবস্থান নিয়ে সেখানে ডাকাতি, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসছিল। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ৩৭ বীর-এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মো. আরিফুল হকের নেতৃত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে সেখানে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে অভিযান চালায়। এ সময় একদল ডাকাত সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পাইপগান দিয়ে গুলি ছুড়ে এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মৎস্য ঘেরের মধ্যে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় বিভিন্ন দিক থেকে শতাধিক লোক ডাকাতদের ঘেরাও করে ফেলে। একপর্যায়ে হাত বোমা ছোঁড়ার সময় ডাকাত দলের প্রধান কামরুল ইসলামকে ধরে গণপিটুনি দেয় এলাকাবাসী। সেনাবাহিনী এলাকাবাসীর কাছ থেকে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় দেবহাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে কর্মরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় সেনাবাহিনী ডাকাতদলের সদস্য মো, নুরুজ্জামান, সোহেল, হোসেন, সবুজ, মেহেরাব ও রবিউল আওয়ালকে আটক করে। তাঁদের কাছ থেকে ৫৪টি ককটেল, পাঁচটি রাম দা, সাত প্যাকেট স্প্লিন্টার, এক প্যাকেট মার্বেল স্প্লিন্টার, চারটি মোবাইল ফোনসেট, ৮০০ গ্রাম গান পাউডারসহ বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধার করে। পরে তাঁদের দেবহাটা থানায় সোপর্দ করে সেনাবাহিনী।