সালিশি বৈঠকে স্ট্রোক করে বিবাদীর মৃত্যু
মোংলায় সালিশি বৈঠকে বসে স্ট্রোক করে মারা গেছেন বিবাদী হানিফ শেখ (৫৫)। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চিলা ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সালিশে উভয় পক্ষের আলোচনার মধ্যেই এ ঘটনা ঘটে।
চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন জানান, উপজেলার চিলা ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের হলদিবুনিয়া এলাকার হেতালমারী গ্রামের বাসিন্দা অলক হালদার (৪৪) ও পাশের সুন্দরবন ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশতলা এলাকার বাসিন্দা হানিফ শেখের (৫৫) মধ্যে ২৫ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধ মীমাংসায় আজ দুপুরে চিলা ইউনিয়ন পরিষদে অলক ও হানিফকে নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসা হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষের আলাপ-আলোচনা শোনার মধ্যেই সাড়ে ১২টার দিকে বৈঠকের চেয়ারে বসে থাকা হানিফ শেখ হঠাৎ ঘুরে পড়ে যান। এরপর সেখান থেকে দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুরজাহান নিশাত বলেন, দুপুর ১টার দিকে হানিফ শেখকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার সঙ্গের লোকজন।
সালিশি বৈঠকে স্ট্রোক করে মারা যাওয়া হানিফ শেখ উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা এলাকার মৃত নওয়াব আলীর ছেলে। মৃত হানিফ পেশায় চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ী ছিলেন। আর প্রতিপক্ষ অলকও পেশায় ঘের ব্যবসায়ী।
চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন বলেন, জমির সালিশ বৈঠক চলাকালে হানিফ তার বক্তব্য শেষ করে গিয়ে চেয়ারে কিছুক্ষণ বসার পর সেখান থেকে হঠাৎ পড়েন যান। মূলত স্ট্রোক করে চেয়ারে বসা থেকে নিচে ঢলে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন আরও বলেন, হানিফের দাবি ছিল অলক তার জমিতে ঢুকেছেন। আর অলকেরও দাবি হানিফ তার জমির মধ্যে ঢুকেছেন। মূলত এ ঘটনার মীমাংসার জন্য সালিশিতে বসা হয়েছিল। সেখানে ওই দুই পক্ষ ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
মোংলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিকাশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এটি স্ট্রোকজনিত মৃত্যু। আর এ নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ নেই। তাই আমাদেরও এখানে কোনো কিছু করার নেই।