সিরাজগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনা, দুই তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থলে

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ের তদন্ত কমিটি। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে উল্লাপাড়া স্টেশন এলাকায় দুর্ঘটনার স্থান পরিদর্শন করেন তাঁরা।
এদিকে, রেললাইনের সংস্কারকাজের জন্য দুর্ঘটনাকবলিত ১ নম্বর লেন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ২, ৩, ও ৪ নম্বর লেন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফিরোজ মাহমুদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি এবং পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আল ফাত্তা মো. মাসউদুর রহমান ও চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি বণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শী ও রেলওয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তবে ওই সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি তাঁরা।
জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফিরোজ মাহমুদ বলেন, ‘রেল দুর্ঘটনার জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আমরা আজ তদন্ত করার জন্য ঘটনাস্থলে এসেছি। রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং ও অপারেশন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। এ ছাড়া লিখিত বক্তব্য নেব। রেলের সঙ্গে যুক্ত অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বক্তব্য নেওয়া হবে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে আমরা প্রতিবেদন দাখিল করব।’
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া স্টেশন এলাকায় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ট্রেনের ইঞ্জিনসহ তিনটি বগিতে আগুন লেগে যায়। এ ঘটনায় ট্রেনের চালকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে র্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ দুর্ঘটনার ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকে। ছয় ঘণ্টা পর বিকল্প পথে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও শুক্রবার রাত থেকে পুরোপুরি ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে রেললাইনের সংস্কারকাজের জন্য ১ নম্বর লেন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ ঘটনায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পক্ষ থেকে বিভাগীয় ও জোনাল পর্যায়ে দুটি এবং সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটিসহ মোট তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।