সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ : নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় শনাক্ত
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের পর ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের নয় সদস্য রয়েছেন বলেও জানা যায়। এ ছাড়া নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত শনাক্ত ২২ জনের পরিচিতি
বাঁশখালী উপজেলার ফরিদুল আলমের ছেলে মুমিনুল হক (২৪), মাহমুদুর রহমানের ছেলে মহিউদ্দিন (৩৪), দক্ষিণ বালিয়াপাড়ার সিহাবউদ্দিনের ছেলে হাবিুর রহমান (২৩), চালিয়াপাড়ার আব্দুল আজিজের ছেলে রবিউল আলম (১৯), হাসান আলীর ছেলে তোফায়েল আহমেদ (২৩), আব্দুল রশিদের ছেলে আলাউদ্দিন (৩৫), নিজাম উদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিন (৩৫), নিজাম উদ্দিনের ছেলে সুমন (২৪), আবুল কাশেমের ছেলে ইব্রাহিম (২৭), মো. আসিফের ছেলে নয়ন (২২), দক্ষিণ হালিশহর এলাকার আব্দুল ছবুরের ছেলে হারুনুর রশিদ (৩৫), সামসুল হকের ছেলে মনিরুজ্জামান (৩২), সাত্তারের ছেলে ফারুক জমাদার (৫৫), আমিন উল্লাহ’র ছেলে শাহাদাত উল্লাহ (৩০), শাহ আলমের ছেলে শাহাদাত হোসেন (২৯), সোহরাব মিয়ার ছেলে তৌহিদুল হাসান (৪১), জাফর আহমদের ছেলে রিদুয়ান (২৪), আব্দুল সত্তার তরফদারের ছেলে শাকিল তরফদার (২২), চিত্তরঞ্জন চাকমার ছেলে নিপন চাকমা (৪৫), কামরুল মিয়ার ছেলে রানা মিয়া (২২), সোলাইমান মিয়ার ছেলে আফজাল (২০) ও আবু ইউসুফের ছেলে সালাউদ্দিন কাদের (৫০)।
এর মধ্যে মনিরুজ্জামান কুমিরা ফায়ার স্টেশনের নার্সিং অ্যান্টেনডেন্টস, আর মো. আলাউদ্দীন ফায়ার সার্ভিসের কম্পিউটার অপারেটর। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন শতাধিক। তাঁদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও আছেন।
শনিবার রাত ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের পর এ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা। এ ছাড়া আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ে। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাসায়নিক থাকায় একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় শ্রমিকসহ অনেকে হতাহত হন। পুড়ে যায় ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও।
এদিকে, বিস্ফোরণের পর এখন পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কনটেইনারে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
এ ঘটনার পর আহত ব্যক্তিদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে, একসঙ্গে এত রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম অবস্থা চমেক হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। পরে চট্টগ্রামের জেনারেল হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালসহ (সিএমএইচ) বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আহত ব্যক্তিদের পাঠানোর উদ্যোগ নেয় প্রশাসন।
এদিকে, মানবিক কাজে সব স্বাস্থ্যকর্মী এগিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী। এ ছাড়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতালসহ সব চিকিৎসককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও বিভাগীয় প্রশাসন।