স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/02/09/kishorganj-ray-pic.jpg)
কিশোরগঞ্জে যৌতুকের কারণে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় স্বামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। আজ বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আসামির অনুপস্থিতিতে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ এ রায় দেন।
২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল দুপুরে পৌরসভার তারাপাশা এলাকায় নন্দিনী (২০) নামে এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অপরাধে এ মামলা করা হয়।
আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট এম এ আফজল জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামি মামুন মিয়া অনুপস্থিত, কারণ মামলা চলাকালেই তিনি পলাতক ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি মামুন মিয়া সদর উপজেলার দানাপাটুলি ইউনিয়নের গাগলাইল গ্রামের মৃত মতি মিয়ার ছেলে। তারপাশা এলাকার মিনার আলম খানের মেয়ে নন্দিনীর সঙ্গে প্রেম ঘটিত কারণে তাঁদের গোপনে বিয়ে হয়। পরে তাদের সংসারে একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের পর থেকেই তিনি যৌতুকের জন্য স্ত্রী নন্দিনীকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। এ পর্যায়ে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য ২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল তারাপাশার ভাড়াটিয়া বাসায় মামুন মিয়া নির্যাতনের একপর্যায়ে নন্দিনীর শরীরে তরল দাহ্য পদার্থ ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নন্দিনীকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাঁচ দিন চিকিৎসার পর ২৫ এপ্রিল ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তাঁর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামুন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলুল হক ২০১৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট এ টি এম আমান রাষ্ট্র মনোনীত আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।