উপকূলে আবারও ‘অস্ত্র কারখানা’র সন্ধান

এবার কক্সবাজারের মহেশখালীতে অস্ত্রের কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালীর পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-৭। এ সময় সেখান থেকে ২২টি দেশীয় অস্ত্র, ২২টি গুলি ও ৩৩টি অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের দাবি, অভিযানে অস্ত্র তৈরির কারিগর আবু মাবুদ ও আবু তাহের ধরা পড়েন।
এর এক মাস আগে অর্থাৎ গত ৪ ডিসেম্বর জেলার চকরিয়া উপজেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে দুটি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেখান থেকে অস্ত্র, গুলি ছাড়াও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ছয়জনকে।
সেই অভিযানও চালিয়েছিল র্যাব-৭। তাদের দাবি ছিল, উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের দুর্গম চরণদ্বীপ ডোলহালিপাড়া এলাকায় দুটি অস্ত্র তৈরির কারখানা থেকে তখন ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৯টি তাজা গুলি ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছিল।
আজ র্যাব-৭ কক্সবাজার কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশেকুর রহমান বলেন, কক্সবাজারের মহেশখালীর গহিন পাহাড়ে অনেক দিন ধরে একটি চক্র অস্ত্র তৈরি করে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে।
এমন তথ্য পাওয়ার পর র্যাবের একটি দল ওই এলাকা ঘিরে অভিযান চালায়। এ সময় একটি অস্ত্রের কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। কারখানা থেকে অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্রের কারিগররা পালিয়ে যেতে চেষ্টা করলে র্যাব ধাওয়া করে দুজনকে আটক করে।