‘সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র দিতেই আনসার ক্যাম্পে হামলা’

সন্ত্রাসী ও ডাকাতদলের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করতেই কক্সবাজারের টেকনাফে আনসার ক্যাম্পে হামলা করা হয়েছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছেন এক রোহিঙ্গা। ওই রোহিঙ্গার কাছ তথ্য পেয়েই লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে র্যাব ৭-এর কক্সবাজার কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আশেকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘ওই জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য পেয়ে গতকাল বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের পুরানপাড়া এলাকার দুটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে ক্যাম্পের লুট করা ১১টির মধ্যে পাঁচটি অস্ত্র ও ৬৭০ রাউন্ডের মধ্যে ১৮৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।’
আশেকুর রহমান উল্লেখ করেন, ‘নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় আটক হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালীর নূরুল আবছার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে তিনি জানান, রোহিঙ্গা আরএসও সদস্যরা ওমর নামের একজন পাকিস্তানি নাগরিকের সহযোগিতায় লুট করা অস্ত্র মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পাচার করে। তিনি নিজেও অস্ত্র চালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।’
ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘গত সোমবার ও মঙ্গলবার কুতুপালং এলাকা থেকে আটক তিন রোহিঙ্গা অস্ত্র লুটের বিষয়টি জানিয়েছে। ২০১৫ সালে টেকনাফে সন্ত্রাসী ও ডাকাতদের সঙ্গে আনসার সদস্যের সংঘর্ষ হয়। এতে আবদুল হাফেজ নামের একজন ডাকাত মারা যায়। এর প্রতিশোধ নিতেই গত বছরের ১২ মে টেকনাফের নয়াপাড়ায় আনসার ক্যাম্পে হামলা করা হয়। এ হামলায় আনসার ক্যাম্পের দায়িত্বরত কমান্ডার পিসি আলী হোসেন (৫৫) গুলিতে নিহত হন। ক্যাম্প থেকে লুট করা হয় ১১টি অস্ত্র ও ৬৭০টি গোলাবারুদ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ওই হামলার ঘটনায় আনসার প্লাটুন কমান্ডার আলমগীর হোসেন টেকনাফ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন। এরপর র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, পিবিআই ও কোস্টগার্ড অভিযানে নামেন। আটক করা হয় অনেককেই।