আই অ্যাম ওভারলোডেড : কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর তাঁর ব্যস্ততা বেড়ে গেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুদিনব্যাপী সিভিল ফেস্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার আগে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ দেখতে ১৫০ বারেরও বেশি গিয়েছি। ভোর সাড়ে ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টেলিফোনে, সামনা-সামনি কিংবা অফিসে যে কাজ করতাম, তারপর আর কাজ খুঁজে পেতাম না। এখন দলের সেক্রেটারি। তাই কাজ বেড়ে গেছে। আই অ্যাম ওভারলোডেড। আগে আমাকে জনসভায় ডাকত কিন্তু আমি যেতাম না। এখন দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় আমাকে যেতে হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রোগ্রাম সহজে দিই না। যদি কোনো প্রোগ্রামের শিডিউল দিয়ে থাকি, তবে সেখানে আমি মন্ত্রীর ব্যস্ততা নিয়ে উপস্থিত থাকি না। মন্ত্রীরা কোনো প্রোগ্রামে গেলেই উদ্যোক্তারা মাইকে বলতে থাকেন, মন্ত্রীসাহেব শত ব্যস্ততার মাঝে এসেছেন। ব্যস্ত মন্ত্রী শব্দটা শুনতে আমার ভালো লাগে না। মন্ত্রী হয়েছি ব্যস্ত থাকার জন্য। ব্যস্ত না থাকলে মন্ত্রী কি? মন্ত্রী কি শুয়ে-বসে সময় কাটাবে? এটা মন্ত্রীর কাজ না। আমি মন্ত্রী হয়েছি, তাই বসে থাকব মঞ্চে, ঘুমিয়ে থাকব ঘরে-এমন মন্ত্রিত্ব দরকার নাই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একটি হাসির নাটক দেখতাম, সেখানে ব্যস্ত ডাক্তার নামে একজন নায়ক আছে। বাংলাদেশে ব্যস্ত মন্ত্রী নামে একটা নাটক হওয়া দরকার। পরিবহন রাস্তায় ফ্রি স্টাইলে চলছে। পরিবহনের সামনে লেখা আল্লার নামে চলিলাম। পেছনে লেখা মায়ের দোয়া, বাবার দোয়া। এরা মা-বাবার দোয়া নিয়ে আল্লার নামে চলে কিছুক্ষণ পরে খাদে পড়ে কিংবা আইল্যান্ডের ওপর উঠে যায়। এখন আবার অনেক গাড়ির বাহিরে লেখা সিটিং সার্ভিস, গেইট লক। অভিযানের কারণে এখন আবার লিখে রাখে- আল্লাহর কসম সিটিং সার্ভিস। সিটিং সার্ভিস লিখে রাখে কিন্তু ভেতরে সব চিটিং। তাদের নিয়মের মধ্যে আনা খুবই কঠিন। তারপরও চেষ্টা চলছে। আমি হাল ছাড়ি নাই।’
দেশের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি হামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উঠে আসার বিষয়টি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটি একটি কোয়ালিটি সম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। মাঝে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। এ সমস্যার জন্য পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা ঠিক না। শুধু গুটি কয়েকজনের দায় যেন বহন করতে না হয়, সেই জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন, সদস্য বেনজির আহমেদ।