খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী বৃদ্ধির দাবি
যুদ্ধাহত ও সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানীর আনুপাতিক হারে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদেরও সম্মানী বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অ্যাসোসিয়েশন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলিস্তান শপিং ভবনের সপ্তম তলায় অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় এই দাবি জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব আলহাজ মো. শাহজাহান কবির বীর প্রতীকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অস্থায়ী কার্যালয়ে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম আজাদ বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভা হয়। ওই সভায় অংশ নেন আলহাজ মোহাম্মদ শাহজাহান কবির বীরপ্রতীক, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বীরপ্রতীক, মো. নুরুদ্দিন আহম্মেদ বীরপ্রতীক, সৈয়দ রেজওয়ান আলী বীরপ্রতীক, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বীরপ্রতীক, আনোয়ার হোসেন বীরপ্রতীক, আলহাজ মো. বদিউর আলম বীর উত্তম, মো. মোজাম্মেল হক বীরপ্রতীক, মো. মতিউর রহমান বীরপ্রতীক প্রমুখ।
সভায় খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘২০১৩ সালে শেখ হাসিনা সরকার সর্বপ্রথম বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ১২ হাজার টাকা, বীর উত্তম ১০ হাজার, বীরবিক্রম আট হাজার ও বীরপ্রতীককে ছয় হাজার টাকা মাসিক সম্মানী দেওয়ার কথা বলেন। ওই সময় ২০১৩ সালে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী দেওয়া হতো দুই হাজার টাকা। উল্লেখ্য যে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী কয়েক দফা বৃদ্ধি করে আগামী জুলাই থেকে ১০ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে যা যুক্তিযুক্ত। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদেরও কয়েকবার সম্মানী বৃদ্ধি করে বর্তমানে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। কাজেই খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথভাবে সম্মান প্রদর্শনের জন্য যুদ্ধাহত ও সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী আনুপাতিকহারে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদেরও মাসিক সম্মানী বৃদ্ধি করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’