শেরেবাংলা নগরে সচিবালয় নিতে সরকারের প্রকল্প
রাজধানীর পল্টন থেকে শেরেবাংলা নগর এলাকায় সচিবালয় সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। এরই মধ্যে প্রকল্প তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি এখন পরিকল্পনা কমিশনের সক্রিয় বিবেচনাধীন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শেরেবাংলা নগরে সচিবালয় স্থানান্তরের যৌক্তিকতা তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সংসদ ভবন, সচিবালয়সহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়গুলো কাছাকাছি স্থানে থাকলে দাপ্তরিক কাজের অনেক সুবিধা হয়। এ ছাড়া যানজটও কম হবে। এ কারণেই সচিবালয়টি স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প তৈরি হয়ে গেছে। বিষয়টি এ মুহূর্তে পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সংসদ (লোকসভা), সচিবালয় ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়-বাসভবন একই এলাকায় অবস্থিত,’ যোগ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
দীর্ঘদিনের রেওয়াজ অনুযায়ী প্রতি সোমবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মন্ত্রিসভার দু-একটি সভা মাঝেমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও অনুষ্ঠিত হয়। তবে দীর্ঘদিন পর গত সোমবার নির্ধারিত মন্ত্রিসভার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো জানান, সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ চারটি স্থানে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠানের প্রচলন রয়েছে। আশির দশকে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারের আমলে মন্ত্রিসভার বৈঠক বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত হতো। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত কক্ষ রয়েছে।
শেরেবাংলা নগরে সচিবালয় স্থানান্তরের সুবিধা উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, শেরেবাংলা নগরসহ আশপাশের এলাকাতেই জাতীয় সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, পরিকল্পনা কমিশনসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অনেক কার্যালয় রয়েছে। সচিবালয়টি সেখানে স্থানান্তর হলে প্রশাসনে আরো গতিশীলতা আসার পাশাপাশি যানজটও কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।