শিয়ালের কামড়ে ১৯ জন আহত, মাইকিং

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নে শিয়ালের কামড়ে তিন গ্রামের নারী, শিশু, যুবক, বৃদ্ধসহ ১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আজ শনিবার ভোররাত পর্যন্ত জগদল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আক্রান্ত ব্যক্তিরা শনিবার সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল, দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কৈতক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আবার ওই শিয়ালের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে রাতে একা ঘর থেকে বের না হতে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে শনিবার মাইকিং করা হয়েছে এবং সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বায়েস আলম।
স্থানীয় লোকজন জানান, একটি শিয়াল শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে জগদল ইউনিয়নের কাউয়াজুরি, দৌলতপুর ও নগদীপুর গ্রামের যাকে সামনে পায় তাকেই কামড়ানো শুরু করে। শনিবার ভোর রাত পর্যন্ত তিন গ্রামের ১৯ জনকে আক্রান্ত করে। শিয়ালের কামড়ে আক্রান্ত হন কাউয়াজুরি গ্রামের সোনারা বেগম (৪০), খেলু মিয়া (৩০), নূর মিয়া (৬০), ইমা বেগম (১৩), বিউটি বেগম (২৫), ইকবাল হোসেন (২২), শাহীন মিয়া (৩৫), ইছবর মিয়া (৬০) ও এওয়র মিয়া (১১); দৌলতপুর গ্রামের জুনেদ মিয়া (৩০), মাহবুবা বেগম (১৮), রুমি বেগম (২০), বিজয় মিয়া (২২) ও আলী হোসেন (৩০), নগদীপুর গ্রামের অ্যানি বেগম (৮), ফারুক মিয়া (২৮), সেনাউর মিয়া (২৫), মিঠু মিয়া (৩০) ও গিয়াস উদ্দিন (২০)।
জগদল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, ‘কী কারণে শিয়াল এক রাতেই তিন গ্রামের এত মানুষকে কামড়িয়েছে তা স্পষ্টভাবে কেউ বলতে পারছে না। সবার ধারণা, এই শিয়ালটি হয়তো পাগল। এলাকার লোকজন শিয়ালটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। লোকজনকে খালি হাতে রাতে একা বের না হতে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। আক্রান্ত লোকজন সুনামগঞ্জ সদর, দিরাই ও কৈতক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।’
দিরাই থানার ওসি মো. বায়েস আলম বলেন, ‘পাগলা শিয়ালের হাত থেকে রক্ষা পেতে এলাকার লোকজনকে রাতে সাবধানে চলাফেরা ও সচেতন থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।’
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দিরাইয়ে শিয়ালের কামড়ে আহত বেশ কয়েকজন লোক হাসপাতালে এসে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। আক্রান্তদের বলে দেওয়া হয়েছে, বাড়িতে গিয়ে প্রতিদিন কাপড় ধোয়ার সাবান দিয়ে আক্রান্ত স্থান নিজেদেরই ধুতে হবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য কেউ ক্ষতস্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারবে না। ক্ষতস্থানের জীবাণু সংক্রমিত হয়ে অন্য কেউ আক্রান্ত হতে পারে।’