নতুন সেনাপ্রধানকে গার্ড অব অনার

নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হককে গার্ড অব অনার দিয়েছে সেনাবাহিনী। আজ রোববার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জ প্রাঙ্গণে তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হয়।
এর পর সেনাকুঞ্জে একটি গাছের চারা রোপণ করেন সেনাপ্রধান। বৃক্ষরোপণের পর নতুন সেনাপ্রধান দীর্ঘায়ু ও সেনাবাহিনীর কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করা হয়। এর আগে সকালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সেনাসদস্যদের সম্মানে শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক।
গত ২৫ জুন নতুন সেনাপ্রধানের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ জানায়, জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালের ১৮ জুন নতুন সেনাপ্রধান বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে কমিশন লাভ করেন। তিনি তাঁর ব্যাচে শ্রেষ্ঠ ক্যাডেট নির্বাচিত হন এবং ‘সোর্ড অব অনার’ লাভ করেন।
জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকের ভাই আনিসুল হক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র।
জেনারেল শফিউল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (বিএ), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিফেন্স স্টাডিজে স্নাতকোত্তর এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
দেশ ও বিদেশে সেনা-সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন জেনারেল শফিউল হক। তিনি ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড এবং মিরপুর স্টাফ কলেজের একজন গ্র্যাজুয়েট। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসের ফোর্ট লেভেনওয়ার্থের কমান্ড অ্যান্ড জেনারেল স্টাফ কলেজেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী মিশনে যাওয়া প্রথম দিকের সেনা কর্মকর্তাদের একজন জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক। ১৯৮৮-৮৯ সালে তিনি পর্যবেক্ষক হিসেবে ইরাকে যান। পরে ২০০৬-০৭ সালে ইউএনএমইইর ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার হিসেবে ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ায় দায়িত্ব পালন করেন।
শফিউল হক বেড়াতে খুব পছন্দ করেন। তিনি ভালোবাসেন গলফ খেলতে। তাঁর স্ত্রীর নাম সোমা হক। এ দম্পতির দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে।