পানীয়র দাম বেশি রাখায় ২০০ টাকা জরিমানা

কোমল পানীয়র দাম পাঁচ টাকা বেশি রাখায় রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁকে ২০০ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁও এলাকার আমানত শাহ (রহ.) হোটেল অ্যান্ড কাবাব রেস্টুরেন্টকে এই জরিমানা করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রিনা বেগম।
অভিযোগকারী রিয়াদুস সালেহীন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, এক বোতল কোমল পানীয়র বোতলের গায়ে দাম লেখা ছিল ৩৫ টাকা। কিন্তু আমানত শাহ (রহ.) হোটেল অ্যান্ড কাবাব রেস্টুরেন্ট সেই পানীয়র দাম রাখে ৪০ টাকা। এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করার পর গতকাল শুনানি হয়। শুনানি শেষে ওই প্রতিষ্ঠানকে মাত্র ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
রিয়াদুস সালেহীন আরো বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও এত কম টাকা জরিমানার বিষয়টি আমার কাছে পরিষ্কার নয়। জরিমানা আরো বেশি করা দরকার ছিল।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রিনা বেগম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমানত শাহ হোটেলটির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি ছোটখাট অভিযোগ। তাই ২০০ টাকা জরিমানা করেছি।’
এদিকে আমানত শাহ হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করে জীবন নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন রিয়াদুস সালেহীন। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ দেওয়ার খবর পেয়ে হোটেল মালিক মো. সেলিম ভূঁইয়া ও তাঁর লোকজন নানাভাবে তাঁকে হুমকি দেওয়া শুরু করেন। বাসার সামনে মাস্তান দিয়ে পাহারা বসান। এই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর জিডির তদন্ত কর্মকর্তা তাঁকে হুমকি দেওয়া শুরু করেন। চাপ দেন অভিযোগ প্রত্যাহার করে হোটেল মালিকের সঙ্গে আপস করতে। এই ঘটনার পর তিনি আতঙ্কে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি পানির দাম গায়ের মূল্যের চেয়ে ১০ টাকা বেশি নেওয়ায় রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত মেজবানী খানা রেস্তোরাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রণব কুমার প্রামাণিক শুনানি শেষে এ জরিমানা করেন।
গত ২২ জানুয়ারি পানির দাম পাঁচ টাকা বেশি রাখায় রাজধানীর মতিঝিলের হিরাঝিল রেস্টুরেন্টকে তিন হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে। ভোক্তা অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক প্রণব কুমার প্রামাণিক এ জরিমানা করেন।
গত ২২ এপ্রিল পানির দাম পাঁচ টাকা বেশি রাখায় রাজধানীর বাসাবো এলাকায় অবস্থিত চায়না পার্ক চাইনিজ অ্যান্ড থাই রেস্টুরেন্টকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা সংরক্ষণ। অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ এ জরিমানা করেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৪০ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি কোনো আইন বা বিধির অধীন নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে কোনো পণ্য, ঔষধ বা সেবা বিক্রয় বা বিক্রয়ের প্রস্তাব করিলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’