‘মোরা’য় প্রাণ গেল আটজনের
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে সর্বশেষ আটজনের প্রাণ গেছে বলে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে।
এর মধ্যে কক্সবাজারে পাঁচজন, রাঙামাটিতে দুজন এবং ভোলায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত শতাধিক।
গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করে। ওই সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া উপকূলের অনেক জেলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আমাদের কক্সবাজার প্রতিনিধি ইকরাম চৌধুরী টিপু জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের বরাত দিয়ে জানান, ঝড়ের সময় মোট পাঁচজন মারা গেছেন। এর মধ্যে গাছচাপা পড়ে চকরিয়ায় দুজন, পেকুয়ায় একজন ও কক্সবাজার সদর উপজেলায় এক কিশোরী নিহত হন।
তাঁরা হলেন চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলার সায়েরা খাতুন (৬৫), ডুলাহাজারার রহমতুল্লাহ (৫০), পেকুয়ার আবদুল হানিফ (৪০) এবং কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদের শাহিনা আকতার (১০)।
অন্যদিকে, কক্সবাজার শহরের ৬ নম্বর জেটি এলাকার বাসিন্দা মরিয়ম বেগম (৫৫) একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ভয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
রাঙামাটি প্রতিনিধি ফজলে এলাহী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে রাঙামাটি শহরের পৃথক দুটি স্থানে গাছের চাপায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন গৃহবধূ হাজেরা বেগম (৪৫) ও স্কুলছাত্রী জাহিদা সুলতানা (১৪)।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ শওকত আকবর খান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভোলা প্রতিনিধি মো. আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাত থেকে রক্ষা পেতে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে কাদাপানিতে মায়ের কোল থেকে পড়ে গিয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মনপুরা উপজেলার কলাতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।