চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা : মহেশ খালের বাঁধ অপসারণের সিদ্ধান্ত
অবশেষে অপসারণ করা হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় মহেশ খালের ওপরের বাঁধ। আর এর ফলে বাঁধসংলগ্ন এলাকার পাঁচ লাখের বেশি মানুষ জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় মহেশ খালের ওপরের বাঁধটি অপসারণ করে পানি নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় মহেশ খালে বাঁধের পরিবর্তে একটি স্লুইসগেট নির্মাণসহ পুরো খালটি ড্রেজিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় বছর সময়ের মধ্যে এসব কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছে সিটি করপোরেশন।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য কমোডর জুলফিকার আজিজ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা।
২০১৫ সালে মহেশ খালে ১২০ ফুট দীর্ঘ ও ৩০ ফুট উচ্চতার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এর পরে কিছুদিন জোয়ারের পানি থেকে আশপাশের এলাকার মানুষ মুক্তি পেলেও ২০১৬ সালে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর সময় থেকে আবারও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে শুরু করে। এর পর থেকেই এই বাঁধ অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয়রা।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতের পর আবার জলাবদ্ধতার শিকার হয় চট্টগ্রাম নগরীর বিরাট একটি অংশ। এরপরই আজ মহেশ খালের বাঁধ অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।