আরো ৭৩ রোহিঙ্গাকে পুশব্যাক

কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশকালে মিয়ানমারের ৭৩ রোহিঙ্গা নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্ট গার্ড।
আজ শনিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর মধ্যে টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবির অভিযানে ১৭ জন এবং নাফ নদীতে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৫৬ জন মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করা হয়। পরে তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়। এর আগে গতকাল শুক্রবার ১৪৬ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম জানান, গতকাল শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত টেকনাফের হোয়াইক্যং, উলুবনিয়া, লম্বাবিল পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় মিয়ানমারের ১৭ জন নাগরিককে আটক করে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, কোস্ট গার্ডের পূর্বজোনের গণসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ফকরুদ্দিন জানান, নাফ নদীতে একটি মাছ ধরার ট্রলারে করে মিয়ানমারের ৫৬ নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বিজিবির সেক্টর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আনোয়ারুল আজিম জানান, বিজিবির টহল অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী হোসেন বলেন, মিয়ানমারের কোনো নাগরিক যাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ২৪টি পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
এরপর ‘সন্ত্রাসীদের’ সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তাকর্মীদের সংঘর্ষে মোট ৭১ জন নিহত হয়। এর মধ্যে ১২ জন নিরাপত্তাকর্মী ও ৫৯ জন ‘বাঙালি সন্ত্রাসী’ রয়েছেন বলে গতকাল শুক্রবার মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় পরামর্শদাতার কার্যালয় জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ১২ নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫৯ জন ‘বাঙালি সন্ত্রাসীর’ লাশ সেখানে পাওয়া গেছে।
এই ঘটনার পর অনেক রোহিঙ্গারা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের দিকে ছুটে আসছে। শুক্রবার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ১৪৬ জনকে পুশব্যাক করা হয়। অন্তত এক হাজার রোহিঙ্গাকে বাধা দেয় বিজিবি। সীমান্তে বিজিবির পক্ষ থেকে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।