আজও কক্সবাজারে ৩ হাজার ২৩১ রোহিঙ্গাকে ফেরত

কক্সবাজারের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আজও তিন হাজার ২৩১ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড। এর মধ্যে সকালে টেকনাফ পয়েন্ট দিয়ে দুই হাজার ৬৭৮ রোহিঙ্গাকে ফেরত দিয়েছে বিজিবি।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ থেকে ৫৫৩ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে কোস্টগার্ড। এ সময় রোহিঙ্গা পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি নৌকাও জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এস এম আরিফুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করা দুই হাজার ৬৭৮ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। পরে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।
আর কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার জাফর ইমাম সজীব জানান, গতকাল সোমবার রাতের বিভিন্ন সময়ে শাহপরীর দ্বীপ থেকে ৪৬১ রোহিঙ্গাকে আটক করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। এ সময় রোহিঙ্গা পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি নৌকা জব্দ করে কোস্টগার্ড। এ ছাড়া সেন্টমার্টিন থেকে ৯২ জনকে ফেরত পাঠানো হয়।
এর আগে গতকালও কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ থেকে দুই হাজার ৩০০ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছিল কোস্টগার্ড। এ সময় রোহিঙ্গা পরিবহনে ব্যবহৃত নয়টি নৌকাও জব্দ করা হয়েছিল।
এদিকে নাফ নদীর বিভিন্ন সীমান্ত পেরিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। আজও ট্রাকে ট্রাকে রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় গিয়ে জড়ো হচ্ছে। অনেকেই নতুন ঝুপড়িঘর বানিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন পাহাড়ে ও ঝোপে-ঝাড়ে।
জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। জাতিগতভাবে নির্মূল করতে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের গ্রামে আগুন দিয়ে বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়াসহ গণহত্যা ও গণধর্ষণ চালায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এর আগে ২০১২ সালের জুনেও মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় আক্রান্ত রোহিঙ্গারা দলে দলে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। ওই সময় সরকার অনুপ্রবেশ ঠেকাতে শক্ত অবস্থান নেয়। যার ফলে ওই সময়ে সাড়ে পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা পুশব্যাক করা হয়।