সমুদ্রে উদ্ধার ১৫৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
মিয়ানমারের জলসীমায় উদ্ধার অভিবাসন প্রত্যাশী আরো ১৫৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে দেশটির সীমান্ত পুলিশ। আজ বুধবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম জিরোপয়েন্ট সংলগ্ন ব্রিজ দিয়ে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
urgentPhoto
এর আগে আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঘুমধুম জিরোপয়েন্টে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিজিবির ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রবিউল ইসলাম। মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের ১ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ক্যাই তুই য্যা।
মংডু ইমিগ্রেশন বিভাগের উপপরিচালক চ্য নি জানান, বাংলাদেশে অভিবাসী প্রত্যাশীদের ফেরত দেওয়ার এটি তৃতীয় পর্যায়। বাকিদেরও পর্যায়ক্রমে ফেরত দেওয়া হবে।
এদিকে ফিরে আসা অভিবাসীদের কয়েকজন জানিয়েছেন, তাঁরা দেশে ফিরে আসতে পেরে অনেক খুশি।
বৈঠক শেষে কক্সবাজার বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আনিসুর রহমান ঘুমধুম ব্রিজে সাংবাদিকদের বলেন, অভিবাসন প্রত্যাশী আরো ১৫৫ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আরো শতাধিক অভিবাসী মিয়ানমারে আছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাঁদের শনাক্ত করা হয়েছে। আরো যাচাই বাছাই শেষে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে।
দেশে ফিরিয়ে আনা এ ১৫৫ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান এ বিজিবি কর্মকর্তা।
গত ২১ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় ২০৮ অভিবাসীকে উদ্ধার করে মিয়ানমার। তাদের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত ১৫০ জনকে ৮ জুন এবং ৩৭ জনকে ১৯ জুন ফেরত আনা হয়। এর মধ্যে ২৯ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে দেশটির নৌবাহিনী আরো ৭২৭ জনকে উদ্ধার করে। এদের মধ্য থেকে ১৫৫ জনকে ফেরত আনা হলো আজ।