নাফ নদীতে আরো ২ রোহিঙ্গার লাশ, পুশব্যাক ২২০

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদী থেকে আরো দুই রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া টেকনাফ সীমান্তে ২২০ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈনউদ্দিন খান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নাফ নদী থেকে দুই রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় লাশ দুটি দাফন করা হয়েছে।
কোস্টগার্ডের শাহ পরীর দ্বীপের স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফয়সাল জানান, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে পাঁচটি নৌকা মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এসব নৌকায় প্রায় ২২০ জন রোহিঙ্গা ছিল।
এদিকে, গত এক সপ্তাহে কক্সবাজারে অন্তত ৮৮ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও উখিয়ার বালুখালী সীমান্তে মিয়ানমার থেকে মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়ে আসা সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। জাতিগতভাবে নির্মূল করতে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের গ্রামে আগুন দিয়ে বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়াসহ গণহত্যা ও গণধর্ষণ চালান সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
গত ২৪ আগস্ট রাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা শুরুর পর শত শত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ পালিয়ে বাংলাদেশের দিকে আসতে থাকে।
এর আগে ২০১২ সালের জুনেও রাখাইন রাজ্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছিল। তখন প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা নিহত হন। ওই সময় দাঙ্গার কবলে পড়ে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।
রোহিঙ্গা ইসু নিয়ে বিশ্বব্যাপী মিয়ানমার সমালোচনার মুখে পড়লেও এখন পর্যন্ত এ সমস্যা সমাধানে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।