আতপ চাল, তাই ক্রেতা শূন্য ওএমএসের চালের দোকান
সারা দেশে সরকারের ওপেন মার্কেট সেল বা ওএমএস চাল বিক্রি কার্যক্রমের সঙ্গে মিল রেখে ফরিদপুরেও শুরু হয়েছে সরকার নির্ধারিত ডিলারদের মাধ্যমে খোলা বাজারে চাল বিক্রি।
তবে এই কর্মসূচির প্রথম তিনদিনই ফরিদপুরের ডিলারদের দোকানগুলো ছিল ক্রেতাশূন্য।
আর এর মূল কারণ হলো, এবার খোলাবাজারে স্বল্পমূল্যে বিক্রি হচ্ছে আতপ চাল। অন্যদিকে এই অঞ্চলের মানুষ সেদ্ধ চালের ভাত খেয়ে অভ্যস্ত। কেবল পিঠা বা বিশেষ কোনো মিষ্টান্ন তৈরিতেই তারা আতপ চাল ব্যবহার করে। ফলে কম মূল্যে পাওয়া আতপ চাল কিনছে না তারা।
চাল কিনতে এসে ফেরত যাচ্ছিলেন এক ক্রেতা। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। এনটিভি অনলাইনকে তিনি বলেন, সেদ্ধ চালের বদলে দেওয়া হচ্ছে আতপ চাল। আর এই চাল আমাদের এই অঞ্চলের মানুষ খেতে পারে না। সরকার যদি আতপ চাল পরিবর্তন করে সেদ্ধ চাল দেওয়া শুরু করে তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়। না হলে এই চাল কেনা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
আরেক নারী জানালেন, বাধ্য হয়ে এই চাল নিচ্ছেন তিনি। কারণ বাজারে সব চালের দাম বাড়তি, কেবল এখানেই ৩০ টাকা কেজিতে চাল পাওয়া যাচ্ছে। তিনি জানান, সেদ্ধ চালের ভাত রান্না করলে তা পরিমাণে বেশি হয়, খেতেও তাদের কাছে ভালো লাগে। কিন্তু আতপ চালে এসব সুবিধা নেই। তাই সরকারের কাছে সেদ্ধ চাল বিক্রির আবেদনও জানান তিনি।
ডিলাররাও জানালেন এই সমস্যার কথা। তাঁরাও সরকারের কাছে এই অঞ্চলে আতপ চাল পরিবর্তন করে সেদ্ধ চাল দেওয়ার আবেদন জানান।
বিষয়টি সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে জানালেন জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক গোপাল চন্দ্র্র। তিনি বলেন, তিনদিন ধরে শহরের ১০টি পয়েন্টে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে আটটি উপজেলার ২৪টি স্থানে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে আতপ চাল হওয়ার কারণে বেশিরভাগ ডিলারের দোকানই কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা পাচ্ছে না বলেও জানালেন তিনি।