‘রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা বন্ধে ব্যবস্থা নিন’

রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর জাতিগত নিধনকে বিশ্বের সবচেয়ে জঘন্যতম বর্বরতম ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেছেন জর্ডানের রানি রানিয়া আল আবদুল্লাহ। জাতিসংঘ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ওপর দুর্দশা ও সহিংসতা বন্ধে ব্যবস্থা নিন।’
আজ সোমবার কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন জর্ডানের রানি। তিনি বিশ্ববাসীকে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন।
দুপুর ১২টার দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে রানিয়া আবদুল্লাহ যান জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) পরিচালিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিদর্শনে। এরপর তিনি রোহিঙ্গা শিশুদের স্কুল পরিদর্শন করেন। তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ক্যাম্পের শিশুদের সঙ্গে খেলায় মেতে উঠেন।
পরিদর্শন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের প্রশংসা করেন রানিয়া। তিনি বলেন, ‘সহানুভূতি, দয়া ও উদারতা প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারকে ধন্যবাদ।’
রানিয়া জানান, জাতিসংঘসহ অন্য সব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা ও দুর্দশা বন্ধে এগিয়ে আসা উচিত।
রানিয়া বলেন, ‘শুধু মানবিক কারণে নয়, ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিশ্ববাসীকে রোহিঙ্গাদের পাশে থাকতে হবে।’
এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিকসহ জর্ডান দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১১টা ১০ মিনিটে বিশেষ বিমানে কক্সবাজার পৌঁছান জর্ডানের রানি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
রানিয়ার আল আবদুল্লাহ ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির (আইআরসি) একজন বোর্ড সদস্য। একইসঙ্গে তিনি জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলোর পরামর্শক।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সেনা অভিযান শুরুর পর পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। তাদের দুরবস্থা দেখতে এর আগে বাংলাদেশে এসেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের স্ত্রী এমিনে এরদোয়ান।