হেলিকপ্টারে ত্রাণ গেল বান্দরবানের দুর্গম অঞ্চলে
টানা বর্ষণে পাহাড় ধসে বিচ্ছিন্ন বান্দরবানের এক উপজেলায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাঙ্গু নদীতে স্রোতের কারণে ইঞ্জিনচালিত বোট চলাচল বন্ধ থাকায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জেলা পরিষদের সদস্য থোয়াই হ্লা মং মারমা ও হেডম্যান মুই শৈ থুই মারমা এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে থানছি উপজেলার দুর্গম অঞ্চলে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সহযোগিতায় ত্রাণের চাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বিকেলে থেকে দুর্গম রেমাক্রী, বড়মদক, তীন্দুসহ বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ত্রাণের মাধ্যমের দুর্গত মানুষ খাদ্য সংকট থেকে পরিত্রাণ পাবে।
এদিকে আজ দুপুরে বান্দরবান শহরে প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রশাসনের উদ্যোগে প্রায় ৩০০ পরিবারের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দুই সহস্রাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। উভয় স্থানেই পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা মারমা, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু জাফর, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষ্মীপদ দাশ, কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলামসহ সরকরি-বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বীর বাহাদুর বলেন, বৃষ্টিতে পাহাড়ের পদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে হবে। ঘরবাড়ির চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। সুতরাং জীবন-সংসারের প্রয়োজনে মানুষকে বেঁচে থাকতে হবে। ঘরবাড়ি ভেঙে গেলে আবার তৈরি করা যায়। কিন্তু মানুষ মরে গেলে আর কিছুই থাকে না।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, অবিরাম বৃষ্টিতে গত এক মাসে পাহাড় ধস ও বন্যায় অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাহাড় ধসে লামা ও জেলা শহরের বনরূপাপাড়ায় আটজনের প্রাণহানি ঘটে। মানুষের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বিকেলে বন্যা ও পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বীর বাহাদুর।