রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে বলবে মার্কিন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি

বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের দ্রুত তাঁদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারকে বলবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সেই সঙ্গে তাঁদের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে সে সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে একটি প্রতিবেদনও উপস্থাপন করা হবে।
আজ শনিবার দুপুরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর জেফস মাকলের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। এ সময় প্রতিনিধিদলের প্রধান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর জেফস মাকলে অবিলম্বে মিয়ানমারের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করা এবং রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি দাবি জানান। এ ছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরো বেশি উদ্যোগী হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট প্রতিনিধিদলের প্রধান সিনেটর জেফস মাকলে আরো বলেন, তাঁরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখেছেন। পরে তাঁরা মিয়ানমার সফর করবেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে কংগ্রেসে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন উত্থাপন করবেন।
সিনেটর জেফ মার্কলের নেতৃত্বে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিনিধিদলে ছিলেন সিনেটর রিচার্ড ডারবিন, কংগ্রেসম্যান বেটি ম্যাককুলাম, জ্যান স্ক্যাকুস্কি ও ডেভিড সিসিলিন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটও।
প্রতিনিধিদলটি উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখেন এবং নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে খুবই অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ সরকার এবং স্থানীয় জনগণ রোহিঙ্গাদের যে সহযোগিতা করেছে তা উচ্চ প্রশংসার দাবিদার।
কংগ্রেসম্যান জ্যাম সেকলিস্ক বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় এবং বহুপক্ষীয় আলোচনা চললেও এখনো মিয়ানমারে মানবিক সংকটের উত্তরণ হয়নি বলে মন্তব্য প্রতিনিধিদলের সদস্যদের।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকায় পৌঁছান। আজ শনিবার সকালে কক্সবাজার পৌঁছান তাঁরা। সেখান থেকে সকালেই চলে যান উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এই ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। বাংলাদেশ সফর শেষে প্রতিনিধিদলটির মিয়ানমারের রাখাইন সফরের কথা রয়েছে।