ফরিদপুরে আ. লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ৩০
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউফুফদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। এঁরা হলেন ইয়াদ আলী (৪০) ও মিলন (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, এলাকার প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামানের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
এ বিরোধের জের ধরে ইউসুফদিয়া বাজারে ওয়াহিদের সমর্থক মাহাবুলের সঙ্গে আনোয়ারের সমর্থক কামরানের কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে।
পরে পুলিশ এসে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পান্না বেগম, মাহাবুল, আনোয়ার ব্যাপারী, রাজু, শাহাজাহান মোল্লা, বক্কার, নূর আলম, মাফু, রেজাউল, আকতার হোসেন, ঈসা, ইব্রাহিম, দেলোয়ার মোল্লা, ফরহাদ শেখসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, বিএনপি সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াহিদ আওয়ামী লীগে যোগদান করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার শুরু করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার লোকজনের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করলে এ সংঘর্ষ বাধে।
আনোয়ার আরো অভিযোগ করেন, ‘এ সময় পুলিশের গুলিতে আমার সমর্থক বাতিন আহত হন। তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশের সহযোগিতায় আমাদের সমর্থকদের চারটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে ওয়াহিদের সমর্থকরা।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমি এখন একটি মিটিংয়ে আছি, পরে কথা বলেন।’
সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাঁচটি কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তবে গুলিতে আহতের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান এসআই।