তরুণীকে গণধর্ষণের পর হত্যা, ছাত্রলীগ নেতা ফের রিমান্ডে
বরগুনার পাথরঘাটায় তরুণীকে গণধর্ষণ ও হত্যার পর মৃতদেহ লুকানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. মাহিদুল ইসলাম রায়হানের তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রায়হান পাথরঘাটা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক।
আজ বুধবার দুপুর ২টায় রায়হানকে পাথরঘাটা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। পরে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পাথরঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক বলেন, অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রায়হানকে আবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে অন্য অভিযুক্তদেরও আবার রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
চলতি বছরের ১০ আগস্ট দুপুরে পাথরঘাটা ডিগ্রি কলেজের পশ্চিম পাশের পুকুর থেকে অজ্ঞাতনামা এক তরুণীর গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে দীর্ঘ সময় ধরে লেগে থাকে বরগুনা থানার পুলিশ। পরে তথ্য পেয়ে গত ১০ নভেম্বর শুক্রবার গভীর রাতে পাথরঘাটা কলেজের নৈশপ্রহরী জাহাঙ্গীরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
জাহাঙ্গীরের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১১ নভেম্বর শনিবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদ ও রায়হানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ১২ নভেম্বর বিকেলে পাথরঘাটার আদালতে মাহমুদের ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহি আনাল দানিয়েল ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ছোট্টকে।