হত্যার পর স্ত্রীর মুখে বিষ ঢেলে দেন স্বামী!
হঠাত অসুস্থ হয়ে মৃত্যু নয়, বরং শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে ঝালকাঠির সুমাইয়া ফরাজী গর্নাকে (২১)।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন সুমাইয়ার স্বামী হিমু আকন (২৫)।
গতকাল রোববার দরজা বন্ধ করে কলহের একপর্যায়ে গর্নাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন হিমু। পরে মুখে বিষ ঢেলে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার করেন তিনি। সেই সঙ্গে বিষ পান করেন নিজেও। পরে হিমুকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে, ঘটনাটিকে হত্যা বলে অভিযোগ করেন নিহত সুমাইয়ার বাবা আসলাম ফরাজী। তিনি ঝালকাঠি থানায় হিমু, হিমুর বাবা, সৎমাসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পরপরই পুলিশ হিমুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালে যায়। পুলিশ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হিমুকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতের বাবা বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় মামলা দায়েরের পরপরই আমরা বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে হিমুকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। পারিবারিক কলহের কারণেই স্ত্রীকে হত্যা করেছে সে। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
স্থানীয়রা জানান, প্রায় তিন বছর আগে পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করেন ঝালকাঠি শহরের কাঠপট্টি সড়কের হিমু ও গর্না।
কিন্তু হিমুর পরিবার বিয়ে মেনে না নেওয়ায় কলহ লেগেই থাকত তাঁদের সংসারে। গতকাল রোববারও দরজা বন্ধ করে ঝগড়ার একপর্যায়ে সুমাইয়াকে হত্যা করেন হিমু। পরে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সুমাইয়া ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।