প্রতিবন্ধীদের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার আহ্বান
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেছেন, ‘এই সমাজে সবারই কিছু না কিছু অক্ষমতা আছে। সবার সম্মিলিত চেষ্টাতেই একটি সমাজ এগিয়ে যায়।’
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আয়োজিত সাংবাদিকতার বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
ইনস্টিটিউট অব কমিউনিকেশন স্টাডিজের (আইসিএস) উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২০ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অংশ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণ শেষে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ১০ জন প্রশিক্ষণার্থী বিভিন্ন গণমাধ্যমে তিন মাসের ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন। আর এভাবেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা নিজ যোগ্যতা প্রমাণ করে মূলধারার সাংবাদিকতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন বলে আশা করছে আইসিএস।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আলাদা অধিদপ্তর গঠনের কাজের অগ্রগতির খোঁজখবর নেবেন বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষায় একটি মনিটরিং সেল গঠনের বিষয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, একটি রাষ্ট্রের কাজ ব্যবসা করে মুনাফা অর্জন করা নয়, বরং নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করা। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর জাল বিস্তৃত করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সহায়তা বাড়াতে সরকারকে তাগিদ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অক্ষমতা নয়, বরং সক্ষমতা চিহ্নিত করে তাদের উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানানো হয়। প্রতিবন্ধীদের প্রতি সহানুভূতির দৃষ্টি নয়, দৃষ্টিভঙ্গি বদলে তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে বলে মত দেন কয়েকজন বক্তা।
অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিএসের নির্বাহী পরিচালক শামীম আরা শিউলী। এ ছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হেড অব ইউনিট-হেড অব অপারেশন মারিও রনোকনিও, সকালের খবর সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সহযোগী সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীন, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, ডেইলি স্টারের বার্তা সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, এনটিভি অনলাইনের প্রধান খন্দকার ফকরউদ্দীন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডিক্যাব সভাপতি মাসুদ করিম, এপির ব্যুরোপ্রধান জুলহাস আলম, ব্রিটিশ হাইকমিশনের যোগাযোগ কর্মকর্তা ফারোহা সুহরাওয়ার্দী।