শ্রেণি বাদ, এখন থেকে গ্রেড
অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় শ্রেণির পরিবর্তে গ্রেড ব্যবস্থা প্রত্যাবর্তন হয়েছে। বিলুপ্ত হলো প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে বিভাজন পদ্ধতির।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন স্কেল গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।
বেতন স্কেলে এখনকার মতোই ২০টি গ্রেড থাকবে। ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বেতন ও চাকরি কমিশন ১৬টি গ্রেডের প্রস্তাব করলেও সচিব কমিটি সরকারের আর্থিক সামর্থ্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যাশা বিবেচনা করে ২০টি গ্রেড বহাল রাখে।
তবে শ্রেণি (প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ) ব্যবস্থা বাদ দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ গ্রেড দিয়েই পরিচিত হবেন।
নতুন বেতন স্কেলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দেওয়া হয়েছে। চাকরিতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর এ ধরনের স্কেল পেতেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
এ নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষোভ থাকলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা জানান, ওই দুটি সুবিধা বাদ দেওয়া হলেও পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, যেসব নতুন সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে, তাতে তাঁরা বরং লাভবান হবেন। টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড কেউ পেতেন, কেউ বঞ্চিত হতেন। এখন বার্ষিক প্রবৃদ্ধি সর্বজনীন করায় সবাই তা পাবেন। এটা যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য বলে মন্ত্রিসভা মনে করে।
সচিব বলেন, ১ জুলাইয়ের আগে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা এটা পাবেন। তবে নতুন করে কেউ আর তা পাবেন না।
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নতুন কাঠামো অনুযায়ী বেতন পাবেন চাকরিজীবীরা।
২০১৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে চেয়ারম্যান করে ছয় মাস মেয়াদি ১৭ সদস্যের ‘বেতন ও চাকরি কমিশন-২০১৩’ গঠন করা হয়। পরে কমিশনের মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানো হয়। এর পর ১৫ ডিসেম্বর এর মেয়াদ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর পে কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।