স্বামীর হত্যার জায়গায় নিয়েই স্বামীকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মান্দিয়া গ্রামের মৎস্যজীবী তোয়াজ উদ্দিন (৬০) হত্যার ঘটনায় স্ত্রীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে তোয়াজ উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রাতেই চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী কুঠি বেগম, ভাড়াটে খুনি মো. ঠান্ডু, মো. ইসরাফিল ওরফে সম্রাট ও লিটন।
গ্রেপ্তারের পর কুঠি বেগম স্বীকারোক্তিতে জানান, আসাদুজ্জামান নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জেনে ফেলেন স্বামী তোয়াজ উদ্দিন। এরপর পাশের গ্রামের মো. ঠান্ডু, মো. ইসরাফিল ওরফে সম্রাট ও লিটনকে ভাড়া করেন স্বামীকে হত্যা করার জন্য। এরপর গতকাল রাতে তাঁরা তোয়াজ উদ্দিনকে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ের জামাই আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, মামলা দায়েরের পর নিহতের স্ত্রী কুঠি বেগমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য মতে গ্রেপ্তার করা হয় অপর তিন আসামিকে।
ওসি আরো জানান, নিহত তোয়াজ উদ্দিন এক সময় চরমপন্থী দলের সদস্য ছিলেন। তোয়াজ উদ্দিন ও কুঠি বেগমের প্রেমিক আসাদুজ্জামান তিন বছর আগে গ্রামের হক আলী নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করেন। তখন হক আলীর লাশ তাঁরা মান্দিয়া গ্রামের যেখানে পুঁতে রাখেন, গতকাল সেখানেই তোয়াজ উদ্দিনকে হত্যা করেন তাঁর স্ত্রী।
মৃত্যুর আগে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন তোয়াজ উদ্দিন। হক আলী হত্যা মামলায় তোয়াজ উদ্দিন ও আসাদুজ্জামান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা জামিনে মুক্ত ছিলেন। আদালতে হক আলী মামলার বিচার শুরু হয়েছে।