ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে আটক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সহকারী পরিচালক ওমর সিরাজসহ তিনজনকে দুইদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে শেরে বাংলানগর থানার পুলিশ তিনজনকে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা চক্রবর্তী তাঁদের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ভবনের দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা, কৃষি ব্যাংকের অফিসার নিয়োগ, জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তর সরবরাহ এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস করার অভিযোগে তিনজনকে আটক করে র‌্যাব-৪।

রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন রেজাউল করিম (৩২) ও ঈশান ইমতিয়াজ হৃদয় (২২)।

সংশ্লিষ্ট আদালতের জেনারেল রেকর্ডিং অফিসার (জিআরও) হুমায়ুন  বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাবের  মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, আটকের সময় তিনজনের কাছ থেকে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন ২০১৪ সালের সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র ২৩টি, একই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দুটি, দুই লাখ টাকা, এক্সিম ব্যাংকের চার লাখ টাকার একটি চেক, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের সিল, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, তিনটি মুঠোফোন ও একটি আইপ্যাড উদ্ধার করা হয়।

মুফতি মাহমুদ খান জানান, আটক ঈশান ২০১০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকে এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ভাণ্ডাররক্ষক রেজাউল চাকরি পাওয়ার পর থেকেই এ কাজ করে আসছিলেন। ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সহকারী পরিচালক ওমর সিরাজের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সহকারী জজ নিয়োগের উত্তরপত্রটিও কৌশলে বের করে পুনরায় জমা করার জন্য তাঁর কাছে ছিল। চক্রটি প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে ১৫ লাখ টাকা, কৃষি ব্যাংকের অফিসার নিয়োগের জন্য ছয় লাখ এবং জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের সহকারী জজ নিয়োগের জন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত চেক অথবা নগদ টাকা নিতেন বলেও জানান কমান্ডার মুফতি মাহমুদ।