ময়মনসিংহে বর্জ্য ফেলা নিয়ে মেয়র-চেয়ারম্যান মুখোমুখি
ময়মনসিংহ শহরতলীর ময়লাকান্দায় ময়লা ফেলা নিয়ে পৌরসভার মেয়র ও সদর উপজেলার চরঈশ্বরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের পক্ষের লোকজন পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।
আজ রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ পৌর কর্মচারী পরিষদের উদ্যোগে সভাপতি সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে চরঈশ্বরদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পৌরসভার বর্জ্য অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদকারী ইউপি চেয়ারম্যান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বিকেলে শম্ভুগঞ্জ চায়না মোড়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় মতবিনিময় সভা ও সমাবেশ করেছেন। তিনি বলেন, যত বাধাই আসুক লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
ময়মনসিংহ পৌরসভা সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় ২২ বর্গকিলোমিটার আয়তন ও প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত ময়মনসিংহ পৌরসভায় প্রতিদিন গড়ে ১৩০ মেট্রিক টন ময়লা-আবর্জনা তৈরি হয়। এই ময়লা-আবর্জনা ফেলতে শহরতলীর চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের চর কালিবাড়ি এলাকায় ১৯৯৫ সালে তিন একর জমি কেনা হয়। সেখানে পৌরসভার সব ময়লা ফেলা হয়। এ কারণে সেখানকার নাম হয়ে গেছে ময়লাকান্দা।
ওই ময়লা ফেলার ফলে এলাকার পরিবেশদূষণ হচ্ছে উল্লেখ করে ময়লাকান্দায় ময়লা ফেলা বন্ধের দাবিতে গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মানববন্ধন ও অবরোধ করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম জাহাঙ্গীর হোসেন। সেখানে ময়লা ফেলা প্রতিরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরের দিন বিকেলে ময়লা ফেলার সময় পৌরসভার গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়িচালকসহ পাঁচজন পরিচ্ছন্নকর্মীকে মারধর করা হয়। এই ঘটনায় পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাবিষয়ক পরিদর্শক দীপক মজুমদার শুক্রবার রাতে ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম জাহাঙ্গীর হোসেন, ইউপি সদস্য সামসু ও বকুলের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৫০০ লোককে আসামি করে মামলা করেন।