দেশে ফিরে প্রত্যক্ষদর্শী হাজিরা যা বললেন
‘বাদশাহর ছেলে প্রিন্স জামারায় ঢিল মারতে গেছিল। ঢিল মারতে যাওয়ার দরুন তাঁর অনারে সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দিছে। বন্ধ করার কারণে মানুষ যেখানে গিয়া আটকায়, সেখানে আর কোনো জায়গা থাকে না। পিছন থেইকা চাপ লাগলে, ইটা যেমন দাঁড় করায়া রাখলে ধাক্কা দিলে একটার পর একটা পড়তে থাকে; অমন ধাক্কায় মানুষগুলার অবস্থা এরকম হইছে।’urgentPhoto
দেশে ফিরে বিমানবন্দরে নেমে এভাবেই সাংবাদিকদের বলছিলেন এক হাজি। আজ সোমবার থেকেই বিভিন্ন ফ্লাইটে হাজিরা দেশে ফিরতে শুরু করেছেন।
হজের আনুষ্ঠানিকতা চলাকালে গত বৃহস্পতিবার মক্কা নগরীর মিনায় ‘শয়তানের স্তম্ভে’ পাথর ছুড়ে ফেরার পথে পদদলিত হয়ে ৭৬৯ জন নিহত ও ৯৩৪ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে সৌদি সরকার।
আরেক হাজি বলেন, ‘চারতলায় ছিলাম আমরা, কংকর মেরেছি। নিচতলাতে ছিল প্রচণ্ড জ্যাম।’
তরুণ এক হাজি বললেন, প্রশস্ত রাস্তা থাকা সত্ত্বেও যেহেতু এত লোকজন, নিয়ন্ত্রণ করার দরকার ছিল। ওই রাস্তায় যত লোক যাওয়া সম্ভব, ততটুকুই ছাড়া দরকার ছিল। মেইন রোড যেটা, সেটা দিয়ে আমাদের না যেতে দিয়ে সাইড রাস্তায় আমাদের দেওয়া হয়েছে।’
হাজিরা একে কেবল দুর্ঘটনা বলে মানতে নারাজ। এত হাজি নিহত ও আহত হওয়ার কারণ হিসেবে অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করেছেন দেশে ফেরত হাজিরা।
বাংলাদেশের ৯৮ হাজিকে নিখোঁজ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস। এই বাংলাদেশিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাঁদের স্বজনদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তালিকাটি করা হয়েছে। এখন তাঁদের খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হজ কাউন্সিলর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।