ভোলায় আ.লীগের সঙ্গে যুবদলের সংঘর্ষ, আহত ১৫
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/11/29/photo-1543490973.jpg)
ভোলায় আওয়ামী লীগ ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে আওয়ামী লীগ ও যুবদল।
এ ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার লালমোহনের ডাওরি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় দুইটি মাইক্রোবাসে ভাঙচুর করা হয়।
জানা যায়, বেলা ১২টায় যুবদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী চারটি মাইক্রোবাসে করে ভোলা থেকে চরফ্যাশনে যাওয়ার সময় লালমোহনের ডাওরি বাজারে পৌঁছালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাদের গাড়ির গতিরোধ করে। এ সময় তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে যুবদলের নেতাকর্মীদেরকে মারধর করা হয় এবং দুটি গাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। হামলাকারীরা জেলা যুবদল সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন, সাবেক সভাপতি ইয়ারুল আলম লিটন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের সেলিমসহ অন্তত ১৫জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। আহতদের কয়েকজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা যুবদল সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন বলেন, ‘আমরা যুবদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সঙ্গে দেখা করতে চরফ্যাশন যাচ্ছিলাম। গাড়ি লালমোহনের ডাওরি আসলে গতিরোধ করে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। আমাদের লোকজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। আমাদের দুটি মাইক্রোবাস ভাংচুর করে।’
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির বলেন, ‘ভাংচুর করা দুটি মাইক্রোবাসের একটি থানায় আনা হয়েছে এবং অপরটি আনার প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন অরুন বলেন, ‘কালমা ইউনিয়ন যুবলীগের বর্ধিত সভা ছিল। এ সময় ভোলা থেকে চার-পাঁচটি মাইক্রোবাসে করে মেজর হাফিজ সমর্থিত বিএনপির ক্যাডাররা আওয়ামী লীগের অফিসে ঢুকে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের চারজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।’