প্রতিবন্ধীকে ‘হত্যার পর ধর্ষণ’, আটক ১
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/06/12/photo-1560352871.jpg)
প্রতিবন্ধী সাবিনা আক্তারকে (২১) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করে সাইফুল ইসলাম (২৮)। সাবিনা বিয়ের আগে তাতে রাজি হননি। সাইফুল নিজের শার্ট খুলে সাবিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মারা যাওয়ার পর সাবিনার লাশকে ধর্ষণ করে সাইফুল।
নরসিংদীর শিবপুরে গত ৮ জুন ওই ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার নরসিংদী প্রেসক্লাবে এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। আসামি সাইফুলকেও সাংবাদিকদের সামনে হাজির করে র্যাব। ঘটনার পরের দিন সাবিনার লাশ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর সাইফুলের দেওয়া তথ্য মতে নিহতের মোবাইল ফোন, ব্যাগসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করে র্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ অধিনায়ক শমসের উদ্দিন জানান, চলতি বছরের মার্চ মাসের দিকে শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী সাবিনা আক্তারের সঙ্গে পরিচয় হয় একই উপজেলার দুলালপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের। এরপর সাবিনাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সাইফুল। গত ৮ জুন বিয়ে করার কথা বলে সাবিনাকে তাঁর বাড়ি থেকে নিয়ে যায় সাইফুল। কিন্তু সাবিনাকে নিয়ে যায় পাশের কাজিরচর গ্রামের একটি কলাবাগানে। সেখানে সাবিনার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা চালায়। বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে রাজি হননি সাবিনা। পরে সাবিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সাইফুল। হত্যার পর নিথর ওই দেহকে ধর্ষণ করে সে।
ওই ঘটনায় নিহতের মা আফিয়া আক্তার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে শিবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে র্যাব ১১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযানে নামে একটি বিশেষ দল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে শিবপুর কলেজ গেট এলাকা থেকে সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
শমসের উদ্দিন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সাইফুল হত্যা ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।