এবার নরসিংদীতে কলেজছাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা!
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/06/14/photo-1560480729.jpg)
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নরসিংদীতে এক কলেজছাত্রীকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নরসিংদীর উদয়ন কলেজ থেকে গত বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ফুলন রানী বর্মণকে (২২) গুরুতর অবস্থায় গতকাল রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরের ২০ ভাগ পুড়ে গেছে।
ফুলন রানী বর্মণ নরসিংদী পৌর এলাকার বীরপুর মহল্লার যুগেন্দ্র চন্দ্র বর্মণের মেয়ে। গত বছর উচ্চ মাধ্যমিক পাস করলেও তিনি পরে আর কোথাও ভর্তি হননি। গতকাল রাতের এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফুলন তাঁর মামার সঙ্গে দোকানে কেক আনতে যান। মামা কেক কিনে দিয়ে তাঁকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বাড়ির আঙিনায় পৌঁছলে দুই দুর্বৃত্ত ফুলনের হাত-মুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে কেরোসিন ঢেলে তাঁর শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
ফুলনের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতাল নিয়ে যান। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন, ওসি সৈয়দুজ্জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘মেয়েটি কেক নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দাহ্য পদার্থ দিয়ে কে বা কারা তাঁর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি কেরোসিন বোতল, দিয়াশলাই বক্স, ওড়না, চুলসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে এবং জড়িতদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে। যারাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক, দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী তপন মল্লিক বলেন, ‘রাতে হঠাৎ করেই চিৎকার শুনতে পাই। ঘর থেকে বের হয়ে দেখি, একটা মেয়ের শরীরে আগুন জ্বলছে। আগুন জ্বলছে আর সে ঘুরছে। পাশের মহিলারা একটি ভেজা চট নিয়ে তাঁর শরীরে চাপা দিয়ে আগুন নেভায়।’
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সঞ্জিত বর্মণ বলেন, ‘আগুন লাগানোর পর ফুলন চিৎকার করছিল। ওই সময় তাঁর মাথার চুল পুড়ে যায়। শরীরের পেছনের দিকে বেশি পুড়েছে। আগুন নিভিয়ে তাঁকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে ঢাকায় পাঠান। শরীরের ২০ শতাংশ পুড়েছে বলে চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন।’