শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি রুটে ফেরি বন্ধের আশঙ্কা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/11/06/photo-1446783734.jpg)
চলমান শুষ্ক মৌসুমে পদ্মা নদীতে পানি হ্রাস অব্যাহত থাকায় নাব্যতা সংকটে পড়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌরুট। পরিস্থিতি সামাল দিতে ড্রেজিং করা হলেও ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। খননকৃত পলি নদীতেই ফেলায় ড্রেজিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফলে আসন্ন শীতে ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের বড় মাধ্যম শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌরুটে এই বর্ষা মৌসুমেও ডুবোচরের কারণে ভোগান্তি ছিল বছরজুড়ে। শুষ্ক মৌসুমে পানির স্রোত কমে স্থিতিশীল থাকায় আশা করা হচ্ছিল, নির্বিঘ্নেই চলাচল করতে পারবে ফেরিসহ নৌযানগুলো। কিন্তু গত কয়েক দিনে অস্বাভাবিক গতিতে পদ্মা নদীর প্রায় ১০ ফুট পানি কমে যাওয়ায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে।
নাব্যতা ধরে রাখতে এ রুটে সাতটি ড্রেজার কাজ করছে। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজিংয়ের কারণে কাঙ্ক্ষিত সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ড্রেজারগুলোর নদীর পলি নদীতেই অপসারণ করায় শুষ্ক মৌসুমের কাঙ্ক্ষিত স্বস্তি এখন অস্বস্তিতে রূপ নিয়েছে। ফলে বড় ফেরিগুলো চলছে নদীর তলদেশ ঘেঁষে। নদীর মাগুরখন্দ, লৌহজং, হাজরা টার্নিং, কাঁঠালবাড়ী ও শিমুলিয়া ক্রসিংয়ের অনেক স্থান হয়ে পড়েছে সরু। ড্রেজিং এলাকাগুলো হয়ে পড়েছে ওয়ানওয়ে। দ্রুত ড্রেজিং না হলে আসন্ন ঘন কুয়াশায় সংকট আরো বেড়ে প্রতিবছরের মতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরি বন্ধের শঙ্কা বেড়েই চলেছে।
ঘন কুয়াশার মৌসুমে ভোগান্তি থেকে বাঁচাতে দ্রুত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে চ্যানেল প্রশস্ত করার দাবি জানিয়েছে দক্ষিণাঞ্চলবাসী। ভোগান্তি এড়াতে ঘন কুয়াশা মৌসুম শুরুর আগে ড্রেজিং কার্যক্রম আরো গতিশীল করার সুপারিশ করেছেন কাওরাকান্দি ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আবদুল বাতেন। ড্রেজিং সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সঠিক নিয়মেই ড্রেজিং চলছে। তাঁরা জানান, গত ১৯ জুলাই থেকে শুরু হয়ে এ পর্যন্ত ১০ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণ করা হয়েছে। আরো চার লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণের কাজ চলছে।
বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ড্রেজিং কার্যক্রম সন্তোষজনক। আর নিয়ম মেনেই ড্রেজিং করছি আমরা। নদীর পলি নদীতে ফেলার ক্ষেত্রেও নিয়ম মেনে চলছি।’