এ মাসেই ফয়সালা : নাসিম
চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় সব ধরনের জ্বালাও-পোড়াওয়ের ‘ফয়সালা’ এ মাসের মধ্যেই হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। আজ সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় সংযোগ মহাসড়কের কড্ডা মোড়ে ১৪ দল আয়োজিত নাশকতাবিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এ কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক বলেন, ‘বাংলাদেশের কোথাও কোনো হরতাল নাই, অবরোধ নাই। কারণ মানুষ ভয়কে জয় করেছে, দোকানপাট খোলা আছে। এখানে উপস্থিত দোকানদার ভাইয়েরা আছেন, ব্যবসায়ী ভাইয়েরা আছেন। নিজের প্রয়োজনে হরতাল ভেঙে, অবরোধ ভেঙে রাস্তায় নেমে গেছেন। তাঁরা পেট্রলবোমায় ভয় পান না, বোমায় ভন পায় না। তাঁদের বাঁচতে হবে, খেয়েপরে বাঁচতে হবে। এই হরতাল-অবরোধের সঙ্গে বাংলার জনগণের কোনো দাবি নাই, জনগণের কোনো সম্পর্ক নাই।’
‘খালেদা জিয়া হরতাল ডেকেছেন কেন? অবরোধ ডেকেছেন কেন? তাঁর দুইটা এজেন্ডা। একটা হলো, একাত্তরের ঘাতক ওই জামায়াতে ইসলামীকে রক্ষা করতে হবে। আরেকটা এজেন্ডা হলো, তাঁর দুর্নীতির মামলা থেকে তাঁকে বাঁচতে হবে। এই দুইটা এজেন্ডাতে তিনি হরতাল ডেকেছেন।’
বিএনপির নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন ওটা কিছুই নয়। ওটা কোনো কথা নয়। এবং তিনি (খালেদা জিয়া) জানেন এই নির্বাচন হওয়ার কথা নয়। ২০১৯ সালের একদিন আগেও বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না, হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। সংবিধানে লেখা আছে, একদিনে নির্বাচন হবে ৩০০ সিটে। যে সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে সেই সরকার গঠন করবে। তাই হয়েছে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে।’
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক বলেন, ‘আর উনি ইলেকশন করলেন না, নির্বাচন করলেন না। উনি এখন জ্বালাও-পোড়াও শুরু করছেন। মানুষ মারতাছেন, শিশু মারতাছেন। সাধারণ রিকশাওয়ালাকে মারতাছেন, শ্রমিককে মারতাছেন। ভাই বলেন, এই নাটক মানুষ পছন্দ করতেছে না। আপনি যা করছেন, কোনো মানুষের কাজ না বা আপনি যা করছেন তার জন্য বাংলার জনগণ এজন্য আপনার একদিন বিচার করবে, আদালতে বিচার করবে ইনশাল্লাহ। সেই দিন আর বেশি দূরে নয় ইনশাল্লাহ।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে মোহাম্মদ নাসিম আরো বলেন, ‘আপনার সঙ্গে কেউ নাই এমনকি বিএনপি নেতা-কর্মীরাও আপনার সঙ্গে নাই। মাথা গরম একজন নেত্রীর সঙ্গে কেউ থাকতে পারে না। যাও ছিল, গত সাত দিনে ইনশাল্লাহ অর্ধেক শেষ হয়ে গেছে বিএনপি। কিন্তু জ্বালাও-পোড়াও করে কিছু করা যাবে না। ইনশাল্লাহ, এই মাসেই ফয়সালা করে দেব ইনশাল্লাহ। এই মাসেই ফয়সালা হবে, এই মাসেই ফয়সালা হবে।’
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ২০ দলের নাশকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে গ্রামে-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় ১৪ দলের নেতৃত্বে নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি গঠনের আহ্বান জানান।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, জাপা (মঞ্জু) প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহম্মেদ খান, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, ন্যাপের যুগ্ম সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদত হোসেন, গণআজাদী লীগের সহসভাপতি আতাউল্লাহ খান, জাসদের কেন্দ্রীয় সদস্য খায়রুজ্জামান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সংসদ সদস্য আবদুল মজিদ মণ্ডল, সংসদ সদস্য সেলিনা বেগম স্বপ্না, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবু ইউসুফ সূর্য, গণতন্ত্রী পার্টির রেজাউল করিম সূর্য, জাসদ নেতা নাজমুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ।