খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কবাখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার হোসেন সোহেলকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এলাকাবাসীর সহায়তায় একটি তামাক ক্ষেত থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া স্কুলছাত্রীর চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
শাহরিয়ার হোসেনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা কমিটির সভাপতি ইকবাল বাহার।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর এক আত্মীয় জানান, দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী (১৫) গতকাল সোমবার দীঘিনালা সদরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসে। সেখান থেকে রাত ১২টার দিকে দুই সঙ্গীসহ বাসায় ফেরার পথে মাইনী ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে চার যুবক তাদের পথ রোধ করে। তিনজনকে কবাখালীর একটি ক্লাবে ধরে নিয়ে যায়। এরপর মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে স্কুলছাত্রীর সঙ্গী এক যুবক হাতের বাঁধন খুলে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এতে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে কিশোরিটিকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদত হোসেন টিটু জানান, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার সোহেল উপজেলার পূর্ব কাঁঠালতলী এলাকার একটি তামাক ক্ষেতে লুকিয়ে ছিলেন। লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সেখান থেকে তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল মিন্টু বলেন, শাহরিয়ার সোহেলের নেতৃত্বে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। শাহরিয়ারের সাথে মৎস্যজীবী লীগের আরো তিনজন জড়িত ছিলেন। শাহরিয়ারকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অপর তিনজনকে বহিষ্কারের জন্য উপজেলা মৎস্যজীবী লীগকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সঞ্জীব ত্রিপুরা জানান, কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চিকিৎসক আব্দুস সামাদকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।