বাল্যবিবাহ দেওয়ায় ঘটকসহ ৫ জনের জেল-জরিমানা
মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামে বাল্যবিবাহ দেওয়ার দায়ে ঘটক ও কনের মামাকে জেল-জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই অপরাধে গাংনী উপজেলায় বর, বরের ভাই ও কনের মাকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের লিটন হোসেনের নাবালিকা মেয়ে ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা আক্তার লিমার সঙ্গে মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর গ্রামের মিরাজুল ইসলামের ছেলে উজ্জ্বল হোসেনের বিয়ে হয়। আজ বুধবার বেলা ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশরাফপুর গ্রামে কনের বাড়িতে অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহীনুজ্জান। এ সময় বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে বিকেলে মেয়ের মামা মেহেরপুর শহরের শিশুবাগানপাড়ার মিরাজুল ইসলামের ছেলে আকাশ আলী এবং বিয়ের ঘটক আশরাফপুর গ্রামের মহিবার হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির হয়ে তাঁদের দোষ স্বীকার করায় আদালত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ১৯২৯ এর ৫ ধারায় দুইজনকে ১০ দিন করে জেল ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
এদিকে গাংনী উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের ইব্রাহীম আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামের (১৬) সঙ্গে মাস খানেক আগে জুগিন্দা গ্রামের আনছার আলীর মেয়ের বিয়ে হয়। আজ বিকেল ৪টার দিকে গাংনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল আমিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। আদালত বর সাইফুল ইসলাম ও তাঁর ভাই জাহিদুল ইসলামকে এক মাস করে এবং কনের মা মর্জিনা খাতুনকে ২৫ দিনের জেল দেন।