ধর্ষকের সম্পত্তি পাবে ধর্ষণে জন্ম নেওয়া শিশু
ধর্ষণের পর জন্ম নেওয়া এক শিশুকে ধর্ষকের উত্তরাধিকার উল্লেখ করে তাকে সম্পত্তির অংশীদার হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন ফেনীর একটি আদালত।
ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নিলুফা সুলতানা গতকাল বুধবার আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেওয়ার সময় ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
একই আদেশে ওই শিশু সন্তানের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত ভরণপোষণ ও ওয়ারিশ হিসেবে সম্পত্তির মালিকানার অংশীদার করার নির্দেশ দেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তৌহিদুল আলম সোহেল ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, ২০০৬ সালে সম্পর্কের সূত্র ধরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ও মামাতো বোনকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেন তৌহিদুল আলম সোহেল।
একপর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রী সন্তানসম্ভবা হয় এবং পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। তখন স্কুলছাত্রী বিয়ের কথা বললে তৌহিদুল আলম সোহেল তা অস্বীকার করেন এবং শিশু সন্তানকে লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রী সোহেল এবং তাঁর দুই ভাই শাহেদ ও রুবেল এবং মর্জিনাকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।
মামলার রায়ে আদালত স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও শিশুকে লুকিয়ে ফেলার চেষ্টার ঘটনায় সোহেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। অপর তিন আসামি সোহেলের দুই ভাই শাহেদ, রুবেল ও বোন মর্জিনাকে খালাস দেন।
এদিকে তৌহিদুল আলম সোহেল ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন।