পটুয়াখালীতে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত একজনের মৃত্যু
পটুয়াখালীর বাউফলে গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত হুমায়ুন মল্লিক কালিশুরী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সোহেল মল্লিকের বাবা।
সোহেল জানান, গতকাল বিকেলে বাউফলের কালিশুরীতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নেছারউদ্দিন জামাল এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে তাঁর বাবা হুমায়ুন মল্লিক গুরুতর আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ আজ দুপুরে মারা যান তিনি।
এদিকে আজ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে পটুয়াখালী নির্বাচনী কর্মকর্তা নাজমুল কবির জানান, জেলার ১০টি ভোটকেন্দ্র বন্ধের খবর পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে গলাচিপায় ছয়টি, পটুয়াখালী সদরে একটি, কলাপাড়ায় একটি ও বাউফলে দুটি কেন্দ্র রয়েছে।
এ ছাড়া দুমকির নলদোয়ানি পাঙ্গাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনা শুরুর আগেই ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রায় ১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। প্রিজাইডিং অফিসার জানান এসময় ৮০ টি ব্যালট খোয়া গেছে।
ভোট শেষে গলাচিপার চিকনিকান্দি ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুর রহমান নয়ার বাড়িতে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে নয়ার স্ত্রী, দুই ছেলে, মেয়ে ও জামাইসহ পরিবারের ছয়জনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে।