খুনিদের ব্যাগের সূত্র ধরে তদন্ত চলছে : আইজিপি

রাজধানীর কলাবাগানে সাবেক মার্কিন দূতাবাস কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু তনয়কে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার কৌশলের সঙ্গে ব্লগার হত্যার মিল আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক।
খুনিদের ফেলে যাওয়া ব্যাগের সূত্র ধরে গোয়েন্দারা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন জানিয়ে এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘যেই কৌশলে, যেই ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তার সঙ্গে অনেক মিল আছে। ও থেকে অনেক ধারণা হচ্ছে তারাই এটা করতে পারে। রাজশাহীতে যেইটা হইছে ওইটার সঙ্গে হয়তো এটার মিল থাকতে পারে, মিল আছে আমরা দেখি। রাজশাহীর ঘটনায় আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। আশা করি, অতি শীঘ্রই আমরা গ্রেপ্তার করতে পারব।’
জুলহাজ ও তনয় হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ছয়জনকে আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে রাজধানীর কলাবাগান থানায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এখনো পর্যন্ত পুলিশ কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশের একাধিক সংস্থা মাঠে নেমেছে।
এদিকে, গতকাল সোমবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পর এখনো থমথমে হয়ে আছে কলাবাগান এবং আশপাশের এলাকা। দিন-দুপুরে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে হতবাক এলাকাবাসী। কী কারণে এমন নৃশংসভাবে খুন করা হলো জুলহাস ও তাঁর বন্ধুকে। তার কোনো হিসাব মেলাতে পারছে না কেউ।
নিহত দুজনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জুলহাজ মান্নান ও তনয়ের মাথা, গলা এবং হাতে গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারালো দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল বিকেলে রাজধানীর কলাবাগানে বাসায় ঢুকে জুলহাজ মান্নান ও তনয়কে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। খুন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দিতে গেলে বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীকে জখম করে তারা। পরে রাস্তায় টহলরত এক পুলিশ সদস্যকেও তারা আহত করে।
জুলহাজ মান্নান বাংলাদেশে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মোজীনার প্রটোকল কর্মকর্তা ছিলেন। সমকামী ও হিজড়াদের অধিকার বিষয়ক পত্রিকা ‘রূপবান’ সম্পাদনার পাশাপাশি জুলহাজ উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডিতে কাজ করতেন।