চান্দিনা মহিলা কলেজের ছাত্রীদের পুলিশের লাঠিপেটা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/07/24/photo-1469367062.jpg)
কুমিল্লার চান্দিনা মহিলা কলেজ সরকারীকরণের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রীদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। ছাত্রীরা আজ রোববার চান্দিনার কাঠেরপুল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয় এবং লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়।
এই ঘটনায় কলেজের অন্তত ১৫ ছাত্রী আহত হয়। এ সময় সহপাঠীরা আহতদের উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৫ জন ছাত্রী আহত অবস্থায় গেলে এদের মধ্যে আটজনকে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে কুমিল্লায় পাঠানো হয়। আহত ছাত্রীদের মধ্যে সাথী আক্তার, শারমিন আক্তার, পলি, সুলতানা আক্তার, তাছলিমা মজিদ, হাজেরা আক্তার, মুক্তা, রোকেয়া আক্তার মনিরা, মাহমুদা ও সুফিয়া ছাদিকার নাম জানা যায়।
ছাত্রীরা জানান, হামলার সময় পুলিশের সঙ্গে বহিরাগত কয়েকজন যুবকও ছিল।
এদিকে চান্দিনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তপন বকসী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন চৌধুরী ও ওই কলেজের অধ্যক্ষ মামুন পারভেজসহ সবার কাছে জানতে চাইলে, তাঁরা জানান ছাত্রীদের পেটানোর ঘটনা তাঁরা জানেন না।
কলেজের শিক্ষকরা জানান, ১৯৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারীকরণের তালিকায় চান্দিনা মহিলা কলেজের নাম থাকলেও পরে তা বাতিল করে চান্দিনা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত এলাকা দোল্লাই নবাবপুর কলেজের নাম যুক্ত করা হয়। সরকারীকরণের দাবিতে চান্দিনা মহিলা কলেজের ছাত্রীরা ছয়দিন ধরে মহাসড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন আন্দোলন করে আসছে।
ছাত্রীদের লাঠিপেটা করার ব্যাপারে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসুল আহমদ নিজামী এনটিভি অনআইনকে বলেন, ‘ছাত্রীরা মহাসড়কে উঠে অবরোধ করতে চাইলে আমাদের মহিলা পুলিশ সদস্য তাদের প্রতিহত করে সরিয়ে দেয়। কোনো লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেনি। পরে ছাত্রীদের সঙ্গে মহিলা কলেজের ক্যাম্পাসের ভেতরে কাদের সঙ্গে যেন গণ্ডগোল হয়েছে। সেখান থেকে ছাত্রীরা আহত হয়ে হাসপাতালে গেছে বলে শুনেছি। আমরা শুধু তাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে অবরোধ তুলে দেই।’